পশ্চিমে সূর্যোদয়: বিজ্ঞান ও ইসলামি ভবিষ্যদ্বাণী
পশ্চিমে সূর্যোদয় রহস্য ও ইসলামি ভবিষ্যদ্বাণী
আমাদের দৈনন্দিন দৃশ্য হলো পূর্ব আকাশে সূর্যোদয় দেখা। তবে কি কখনো পশ্চিমে সূর্যোদয় ঘটতে পারে? ইসলামি হাদিস এবং সাম্প্রতিক বৈজ্ঞানিক গবেষণা উভয়ই এ সম্ভাবনার দিকে ইঙ্গিত করছে।এই ভবিষ্যদ্বাণী নিয়ে বহু বিতর্ক হয়েছে। অন্যদিকে বিজ্ঞানীরা দীর্ঘদিন ধরে এমন ঘটনাকে অসম্ভব মনে করতেন। তবে সাম্প্রতিক গবেষণা সেই ধারণাকে চ্যালেঞ্জ করছে।
চৌম্বক ক্ষেত্র ও পৃথিবীর ঘূর্ণন রহস্য
পৃথিবীর ভেতরে গলিত লোহা প্রবাহিত হচ্ছে। এর ফলে একটি শক্তিশালী চৌম্বক ক্ষেত্র তৈরি হয়। এই ক্ষেত্র স্যাটেলাইট ও জীবজগতকে সূর্যের ক্ষতিকর বিকিরণ থেকে রক্ষা করে।
তবে ইতিহাস বলছে, পৃথিবীর চৌম্বক মেরু স্থির নয়। প্রায় ৭৮০,০০০ বছর আগে সর্বশেষ বড় ধরনের উল্টেপাল্টে গিয়েছিল। আরও ছোট রূপান্তর ঘটেছে প্রায় ৪১,০০০ বছর আগে। ফলে বিজ্ঞানীরা বলছেন, ভবিষ্যতেও এ ধরনের পরিবর্তন সম্ভব।

সম্ভাব্য প্রভাব: প্রযুক্তি ও পরিবেশ
চৌম্বক মেরু পরিবর্তনের সময় ক্ষেত্র দুর্বল হয়ে যায়। তখন সৌর বিকিরণ সরাসরি পৃথিবীতে পৌঁছাতে পারে। এর ফলে—
- স্যাটেলাইট ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে
- জিপিএস সিস্টেম বিভ্রান্ত হতে পারে
- বিদ্যুৎ গ্রিডে ভয়াবহ ঝুঁকি তৈরি হতে পারে
এছাড়া প্রাণিজগতেও প্রভাব পড়বে। যেমন, অভিবাসী পাখি দিকনির্দেশনা হারাতে পারে। সামুদ্রিক কচ্ছপের প্রজনন বিঘ্নিত হতে পারে।
আরও পড়তে পারেন: ইরানের তেল বিক্রিতে নতুন করে মার্কিন নিষেধাজ্ঞা
বিজ্ঞান বনাম আধ্যাত্মিক সতর্কতা
ইসলামি হাদিস অনুযায়ী, পশ্চিম দিক থেকে সূর্য উদিত হলে মানুষ ঈমান আনবে। কিন্তু তখন সেই ঈমান গ্রহণযোগ্য হবে না।
অন্যদিকে, বিজ্ঞান বলছে, এ ধরনের ঘটনা ধীরে ধীরে ঘটবে। হঠাৎ একদিনের মধ্যে পৃথিবী উল্টে যাবে না। তবে ধাপে ধাপে এর প্রভাব মানবসভ্যতার ওপর পড়বে। তাই প্রস্তুতি নিতে হবে।
করণীয় ও ভবিষ্যতের প্রস্তুতি
এই ঝুঁকি ঠেকাতে বিজ্ঞানীরা প্রযুক্তি উন্নত করার চেষ্টা করছেন। যেমন—
- শক্তিশালী স্যাটেলাইট তৈরি করা
- বিদ্যুৎ সরবরাহ ব্যবস্থায় ব্যাকআপ রাখা
- বন্যপ্রাণীর জন্য বিকল্প সংরক্ষণ পরিকল্পনা তৈরি
ফলে স্পষ্ট হচ্ছে, ইসলামি ভবিষ্যদ্বাণী ও বৈজ্ঞানিক সতর্কতা উভয়েই মানবজাতিকে সচেতন হতে বলছে। আমাদের জন্য শিক্ষা হলো—প্রস্তুত থাকুন, সতর্ক থাকুন।
তথ্য সূত্রঃ দৈনিক জনকন্ঠ

