ইরানের তেল বিক্রিতে নতুন করে মার্কিন নিষেধাজ্ঞা
ডেক্স রিপোর্টঃ
ইরানের তহবিল স্থানান্তরে অভিযোগ
যুক্তরাষ্ট্রের অর্থ মন্ত্রণালয়ের বৈদেশিক সম্পদ নিয়ন্ত্রণ দপ্তর (OFAC) জানিয়েছে, হংকং ও সংযুক্ত আরব আমিরাতভিত্তিক কয়েকজন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের ওপর নতুন করে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে। অভিযোগ, তারা ইরানের ইসলামিক রেভল্যুশনারি গার্ড ও প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের জন্য বিদেশ থেকে অর্থ সংগ্রহ ও স্থানান্তরে ভূমিকা রেখেছে।
ক্রিপ্টোকারেন্সি কেনার অভিযোগ
নিষেধাজ্ঞার তালিকায় থাকা ইরানি নাগরিক আলিরেজা দেরাখশন ও আরশ এস্তাকি আলিভান্দ ইরান সরকারের জন্য প্রায় ১০ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের সমপরিমাণ ক্রিপ্টোকারেন্সি কিনতে সহায়তা করেছেন বলে দাবি করছে যুক্তরাষ্ট্র।
ছায়া ব্যাংকিং নেটওয়ার্ক ব্যবহার
মার্কিন অর্থ মন্ত্রণালয় বলছে, ইরান একটি ‘ছায়া ব্যাংকিং নেটওয়ার্ক’ ব্যবহার করছে। এর মাধ্যমে বিদেশি প্রতিষ্ঠান ও ক্রিপ্টো লেনদেনকে কাজে লাগিয়ে আন্তর্জাতিক আর্থিক ব্যবস্থার অপব্যবহার করা হচ্ছে। এতে অবৈধভাবে প্রাপ্ত অর্থ বৈধ দেখানোর চেষ্টা করা হয়েছে।
মার্কিন সম্পদ হারানোর ঝুঁকি
এই পদক্ষেপের ফলে তালিকাভুক্ত ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানগুলো যুক্তরাষ্ট্রে থাকা সম্পদের অধিকার হারাবে। একই সঙ্গে মার্কিন নাগরিক ও কোম্পানিগুলোকেও তাদের সঙ্গে ব্যবসা করতে নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
শিপিং খাতেও কড়াকড়ি
এর আগে গত আগস্টে যুক্তরাষ্ট্র গ্রিক ব্যবসায়ী আন্তোনিওস মার্গারিটিস ও তার শিপিং কোম্পানিকে নিষেধাজ্ঞার আওতায় আনে। অভিযোগ, তিনি তার দীর্ঘ অভিজ্ঞতা ব্যবহার করে ইরানি তেলের অবৈধ পরিবহন ও বিক্রয় সহজ করেছেন।
ইরানের প্রতিক্রিয়া নেই এখনো
মার্কিন প্রশাসনের দাবি, ইরানের তেল বিক্রি শূন্যে নামিয়ে আনার লক্ষ্যে ধারাবাহিকভাবে এসব পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে। তবে নতুন নিষেধাজ্ঞা নিয়ে তেহরান এখনো কোনো প্রতিক্রিয়া জানায়নি।
আরও পড়তে পারেনঃ আমতলীতে ইউপি সদস্যের বাড়ি থেকে অবৈধ সার জব্দ

