জীবনযাপন

ডিম ছুড়ে প্রতিবাদ: প্রভাবশালী ঐতিহাসিক প্রতীক

Spread the love

ডিম ছুড়ে প্রতিবাদ বহু প্রাচীন থেকেই ব্যবহৃত একটি প্রতীকী প্রতিবাদ। সাধারণ টেবিল খাদ্য হলেও, রাজনৈতিক মঞ্চে এটি সহজে উপলব্ধ একটি নীরব কিন্তু প্রভাবশালী মাধ্যম। তদুপরি, সাম্প্রতিক সময়ে বিভিন্ন দেশে এবং আমাদের দেশেও এ ধরনের প্রতিবাদের খবর দেখা যায়।

ডিম ছুড়ে প্রতিবাদের ইতিহাস

প্রাচীনকালে বিভিন্ন সমাজে খাবার নিক্ষেপ শাস্তি বা অপমান হিসেবে দেখা গেছে। তবে লিখিত নথিতে ডিম নিক্ষেপের উল্লেখ পাওয়া যায় ১৮০০-এর দশক থেকেই। উদাহরণ হিসেবে আয়েল অফ ম্যান ও যুক্তরাষ্ট্রে নানাবিধ ঘটনাই রেকর্ডে আছে। এছাড়া, ১৯ ও ২০শ শতকে বিভিন্ন রাজনৈতিক নেতার ওপর ডিম নিক্ষেপের ঘটনা আন্তর্জাতিক সংবাদে আলোড়ন তুলেছে।

কেন মানুষ ডিম ছুড়ে প্রতিবাদ করে?

প্রথমত, ডিম সস্তা ও সহজলভ্য। তাই দ্রুত সংগ্রহ করে ব্যবহার করা যায়।
দ্বিতীয়ত, ডিম নিক্ষেপ করলে তা দৃশ্যমান ও লজ্জাজনক প্রভাব ফেলে। ফলে প্রতিবাদের উদ্দেশ্য দ্রুত পৌঁছায়।
তবে তৃতীয়ত—এটি সাধারণত অহিংস প্রতিবাদের একটি মাধ্যম। তাই কর্তৃপক্ষের হাতে ক্ষতিকর অস্ত্র ব্যবহার না করার যুক্তিও থাকে। যেমন- কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের এক গবেষক বলেছিলেন, খাদ্য নিক্ষেপ অহিংস হলেও তা প্রতিবাদের শক্তিমত্তা বাড়ায়।

আরও পড়ুন:- আইডিবি-বিআইএসইডব্লিউ আইটি স্কলারশিপ: ফ্রি কোর্স ও চাকরির সুযোগ

ডিম ছুড়ে প্রতিবাদ: সমসাময়িক উদাহরণ ও প্রতীকী মাত্রা

বিশ্বজুড়ে একাধিক বক্তা, রাজনীতিবিদ ও বিভিন্ন ব্যক্তিত্ব ডিম নিক্ষেপের শিকার হয়েছেন। উদাহরণস্বরূপ, নির্বাচনী সভায় বা পাবলিক অনুষ্ঠানে ডিম নিক্ষেপ করে সমাজ দ্রুত তা চোখে পড়ে। তাছাড়া কৃষক আন্দোলন ও ভোক্তা ক্ষোভের সময় ডিম নিক্ষেপ সামাজিক প্রচারণার অংশও হয়ে ওঠে। ফলে এটি কখনোই কেবল গালি নয়; বরং একটি প্রতীকী বার্তা

উপসংহার: ডিম ছুড়ে প্রতিবাদ—শক্তিই বা কি?

সংক্ষেপে, ডিম ছুড়ে প্রতিবাদ সহজ, দৃশ্যমান ও তুলনামূলকভাবে নিরাপদ। ফলে এটি প্রতিবাদের এক কার্যকর প্রতীক হিসেবে টিকে আছে। উপরন্তু, আজকের গণমাধ্যম যুগে একটি ছোট ইশারাই দ্রুত বড় প্রভাব ফেলতে পারে। তাই জনগণের ক্ষোভ প্রকাশের পদ্ধতিতে ডিম-নিক্ষেপ কখনো কখনো গুরুত্বপূর্ন ভূমিকা রাখে।

তথ্য সূত্র:- দৈনিক ইত্তেফাক

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।