Uncategorized

ডিএনএ টেস্টে প্রকাশ পেল হাসপাতালের অবহেলা: বদলে গেল দুই পরিবারের জীবন

Spread the love

ভিয়েতনামে এক বাস্তব ঘটনার পর গোটা দেশজুড়ে ছড়িয়ে পড়েছে চাঞ্চল্য। এক পরিবার বহু বছর ধরে যে মেয়েকে নিজেদের সন্তান ভেবে লালন-পালন করেছে, ডিএনএ টেস্টে অদলবদল সন্তান প্রমাণিত হওয়ায় তারা সম্পূর্ণভাবে হতবাক হয়ে পড়ে।

👨‍👩‍👧 সন্দেহের শুরু এক সুন্দরী মেয়েকে ঘিরে

দক্ষিণ ভিয়েতনামের এক দম্পতির মেয়ে লেন বড় হতে হতে ক্রমেই সুন্দরী হয়ে উঠছিল। কিন্তু মেয়ের চেহারার সঙ্গে পরিবারের কোনো সদস্যের মিল না পাওয়ায় বাবা সন্দেহ করতে থাকেন। সময়ের সঙ্গে সেই সন্দেহ আরও গভীর হয় এবং দাম্পত্য সম্পর্কে দেখা দেয় অশান্তি।

স্বামী মনে করেন, স্ত্রী হং হয়তো পরকীয়ায় জড়িত। একপর্যায়ে নিজের সন্দেহ মেটাতে তিনি ডিএনএ পরীক্ষা করার সিদ্ধান্ত নেন।

🧬 ডিএনএ রিপোর্টে অবিশ্বাস্য সত্য

পরীক্ষার রিপোর্ট আসতেই পুরো পরিবার স্তম্ভিত। ফলাফলে দেখা যায়, লেন আসলে ওই দম্পতির জৈবিক সন্তান নন। অথচ স্ত্রীর কোনো পরকীয়া সম্পর্কের প্রমাণও মেলেনি। এতে পরিবার আরও বিভ্রান্ত হয়ে পড়ে—তাহলে তাদের মেয়েটি কে?

👉 আরও পড়ুনঝাল আসলে স্বাদ নয়, একধরনের ব্যথার অনুভূতি!

🏙️ রাজধানীতে গিয়ে ঘটনার মোড় ঘোরা

দীর্ঘদিনের মানসিক অশান্তিতে ক্লান্ত হং মেয়ে লেনকে নিয়ে রাজধানী হ্যানয়ে চলে যান। সেখানে লেনকে নতুন এক স্কুলে ভর্তি করানোর পর এক জন্মদিনের অনুষ্ঠানে অংশ নেন তারা। সেখানে এক সহপাঠীর মুখ দেখে হং চমকে ওঠেন—মেয়েটির মুখাবয়ব তার তরুণ বয়সের সঙ্গে হুবহু মিলে যায়।

সন্দেহ আরও ঘনিয়ে এলে হং যোগাযোগ করেন সহপাঠীর পরিবারের সঙ্গে। আলোচনা থেকে জানা যায়, দুই মেয়ে একই হাসপাতালে একই দিনে জন্মেছিল। পরে উভয় পরিবার ডিএনএ টেস্ট করায় প্রমাণিত হয়—লেনের সহপাঠীই আসলে হং-এর জৈবিক সন্তান, আর লেন জন্মেছিল অন্য দম্পতির ঘরে।

🏥 হাসপাতালের ভুলে দুই পরিবারে অদলবদল সন্তান (ডিএনএ টেস্টে অদলবদল সন্তান)

সাউথ চায়না মর্নিং পোস্ট জানায়, নবজাতক জন্মের সময় হাসপাতালের অবহেলার কারণে দুই শিশুকে ভুলবশত অদলবদল করে দেওয়া হয়েছিল। ফলে দুই পরিবারই ভুল সন্তানের সঙ্গে বছরের পর বছর জীবন কাটিয়েছে।

এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসার পর ভিয়েতনামজুড়ে ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি হয়েছে। স্থানীয় সংবাদমাধ্যমগুলো হাসপাতাল প্রশাসনের দায়িত্বহীনতার তীব্র সমালোচনা করেছে।

🤝 নতুন সম্পর্কে নতুন শুরু

বর্তমানে দুই পরিবার একে অপরের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখছে এবং দুই মেয়ের ভবিষ্যৎ নিয়ে নতুনভাবে সিদ্ধান্ত নিতে চেষ্টা করছে। পরিবারগুলো বলছে, “আমরা রক্তের বন্ধনের চেয়ে ভালোবাসার বন্ধনকেই বেশি মূল্য দিই।”

এই ঘটনা এক করুণ বাস্তবতার পাশাপাশি সমাজে হাসপাতালের দায়িত্ব ও মানবিক সংবেদনশীলতার গুরুত্বকেও সামনে এনেছে।

সূত্র: জনকন্ঠ

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।