ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৪ আসনে বিএনপির মনোনয়ন নিয়ে তীব্র উত্তেজনা
ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৪ (কসবা–আখাউড়া) আসনে বিএনপির মনোনয়নকে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক অঙ্গনে দানা বেঁধেছে তীব্র উত্তেজনা। বিশেষ করে সম্ভাব্য প্রার্থী হিসেবে তৃণমূলের সবচেয়ে জনপ্রিয় নেতা কবীর আহমেদ ভূঁইয়ার নাম বাদ যাওয়ার পর স্থানীয় রাজনীতিতে ব্যাপক প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে।
কসবা–আখাউড়ার বহু বিএনপি নেতা–কর্মী, সমর্থক ও সাধারণ মানুষের দাবি—এই আসনে জনগণের গ্রহণযোগ্য নেতা একজনই, এবং তিনি হলেন কবীর আহমেদ ভূঁইয়া। তাদের বক্তব্য, “কবীর ভূঁইয়া ছাড়া অন্য কাউকে মানা হবে না।”
মনোনয়ন পুনর্বিবেচনার দাবিতে হাজারো মানুষের উপস্থিতিতে কাফনের কাপড় পরে যে বিক্ষোভ হয়েছে, তা ইতোমধ্যেই দেশজুড়ে আলোচিত। কসবা আড়াইবাড়ী দরবার শরিফ থেকে শুরু হওয়া গণমিছিলটি স্থানীয়দের দাবি অনুযায়ী—কসবা–আখাউড়ার ইতিহাসের অন্যতম বৃহৎ রাজনৈতিক সমাবেশ। কেউ বলছেন ১ লাখ, কেউ ১.৫ লাখ, আবার কারও ভাষায়—“মানুষের মাথাই দেখা যাচ্ছিল না… চারদিকে শুধু জনস্রোত!”
মিছিলে কসবা উপজেলা বিএনপি, পৌর বিএনপি, ইউনিয়ন বিএনপি, যুবদল, ছাত্রদল, মহিলা দল, স্বেচ্ছাসেবক দল, কৃষক দল, শ্রমিক দলসহ সব অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা অংশ নেন। সঙ্গে ছিলেন সাধারণ শ্রমিক, দোকানি, কৃষক, রিকশাচালক, ছাত্র, প্রবীণসহ নানা শ্রেণির মানুষও।
মিছিল শেষে সুপার মার্কেট এলাকায় অনুষ্ঠিত সমাবেশে বক্তারা বলেন, “এই আসনে জনপ্রিয়, গ্রহনযোগ্য ও মানুষের নেতা একজনই—কবীর আহমেদ ভূঁইয়া।” তৃণমূল নেতারা তার জনপ্রিয়তার কারণ হিসেবে দুঃসময়ে নেতাকর্মীদের পাশে থাকা ‘মাঠের নেতা’ হিসেবে তার ভূমিকা তুলে ধরেন।
আরও পড়ুনঃ আখাউড়া স্থলবন্দর শ্রমিকলীগ সভাপতি শাহনেওয়াজ শানু গ্রেফতার
একজন আহত যুবদল নেতা বলেন, “যখন সবাই দূরে সরে যায়, তখন কবীর আহমেদ এসে পাশে দাঁড়ান। তাই আমরা তাকে বুক দিয়ে আগলে রাখি।”
তার মানবিক উদ্যোগও ব্যাপকভাবে মানুষের হৃদয় জয় করেছে—ভূঁইয়া গ্লোবাল ফাউন্ডেশনের মাধ্যমে অসহায় মানুষের সহায়তা, করোনাকালে রেশন বিতরণ, বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের সহযোগিতা, শীতবস্ত্র বিতরণ, চিকিৎসা সহায়তা—সব মিলিয়ে জনগণ তাকে শুধু রাজনীতিবিদ নয়, একজন অভিভাবক ও যুবসমাজের আইকন হিসেবে দেখছেন।
