ফিলিপিন্সের উপকূলে ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় ফাং-ওয়ং, জলোচ্ছ্বাসের আশঙ্কা
🌪️ ঘূর্ণিঝড় ফাং-ওয়ং: ফিলিপিন্সের উপকূলে ধেয়ে আসছে শক্তিশালী ঝড়
ফিলিপিন্সের পূর্ব উপকূলের দিকে দ্রুত ধেয়ে আসছে ভয়াবহ ঘূর্ণিঝড় ফাং-ওয়ং (স্থানীয় নাম: উয়ান)। দেশটির আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, এটি রবিবার (৯ নভেম্বর) রাতে স্থলভাগে আঘাত হানার আগে সুপার টাইফুনে পরিণত হতে পারে। ইতোমধ্যে উপকূলীয় অঞ্চলে সর্বোচ্চ সতর্কতা জারি করা হয়েছে।
🌊 জলোচ্ছ্বাস ও ঝড়ো বাতাসের আশঙ্কা
আবহাওয়াবিদদের পূর্বাভাস অনুযায়ী, ঘূর্ণিঝড় ফাং-ওয়ং-এর প্রভাবে উপকূলীয় এলাকায় পাঁচ মিটার পর্যন্ত জলোচ্ছ্বাস এবং ১৮৫ কিলোমিটার বেগে ঝোড়ো বাতাস বয়ে যেতে পারে।
আবহাওয়াবিদ বেনিসন এসতারেজা জানান, বর্তমানে ঝড়ের কেন্দ্রে বাতাসের বেগ ঘণ্টায় ১৪০ কিলোমিটার, যা দমকা হাওয়ায় ১৭০ কিলোমিটার পর্যন্ত পৌঁছাচ্ছে। স্থলভাগে আঘাতের সময় এটি আরও শক্তিশালী হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
☔ ব্যাপক বৃষ্টিপাত ও ভূমিধসের আশঙ্কা
২০০ মিলিমিটার পর্যন্ত বৃষ্টিপাত হতে পারে বলে সতর্ক করা হয়েছে, যা বন্যা ও ভূমিধসের ঝুঁকি তৈরি করবে। ফাং-ওয়ং প্রায় ১,৫০০ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে বিস্তৃত হতে পারে এবং এর প্রভাব পড়বে প্রায় পুরো ফিলিপিন্সজুড়ে।
আরও পড়ুনঃ “যে মনোনয়ন ঘোষণা করা হয়েছে, তা এখনো চূড়ান্ত নয়” —আলহাজ্ব এম.এ.হান্নান
🚨 সতর্কতা ও প্রস্তুতি
উপকূলীয় অঞ্চলে নৌযান চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে, বাসিন্দাদের নিরাপদ স্থানে সরে যাওয়ার আহ্বান জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ। ইতোমধ্যেই বিকোল ও সামার অঞ্চলে ভারী বৃষ্টি শুরু হয়েছে।
এই সতর্কতা এমন সময়ে এসেছে, যখন কয়েকদিন আগেই ঘূর্ণিঝড় ‘কালমেগি’ তাণ্ডব চালিয়ে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি করে গেছে—যেখানে ফিলিপিন্সে ২০৪ জন এবং ভিয়েতনামে ৫ জন নিহত হন।
🌎 বিশেষজ্ঞদের মত
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, গ্লোবাল ওয়ার্মিং ও তাপমাত্রা বৃদ্ধি ঘূর্ণিঝড়গুলোকে আরও শক্তিশালী ও বিধ্বংসী করে তুলছে। ফিলিপিন্স সরকার জনগণকে সতর্ক থাকার ও জরুরি নির্দেশনা মেনে চলার আহ্বান জানিয়েছে।

